শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক:

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মনিটর করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসকের কক্ষ, শিশুসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে মনিটর করেন তারা। এ সময় বেশির ভাগ কক্ষে চিকিৎসক উপস্থিত পাননি শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সঠিকভাবে রোগীরা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না, হাসপাতালের কক্ষ ও খাবার নোংরা দেখতে পান তারা।

 

এ সময় শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমানের কক্ষে তাকে না পেয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ১১ দফা দাবি জানিয়ে সাত দিনের আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনি ডা. হোসনে আরা রোজিকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।


শিক্ষার্থীরা জানান, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আগে থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছিল। এটি একটি ভূতুড়ে হাসপাতাল। দালালে ভরে গেছে। বেশির ভাগ কক্ষেই চিকিৎসক থাকেন না। রান্না করা খাবার রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয় বলে মন্তব্য করেন তারা। পাশাপাশি একজন রোগীকে যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। কয়েকটি কক্ষে প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্যানের ব্যবস্থা নেই। অপরিষ্কার, নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে হাসপাতাল।


হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন শোভন, সানজানা খান, সাদিয়া ঐশী ও ফরহাদ হোসেন বলেন, হাসপাতালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে কয়টি জায়গায় ভিজিট করেছি, সব জায়গাতেই অনিয়ম পেয়েছি। টিকিট কাউন্টারে কোনো নিয়ম নেই। নবজাতক নিয়ে মায়েরা দাঁড়িয়ে আছেন, কোথাও ফ্যান নেই। এখানেই মানুষ অর্ধেক অসুস্থ হয়ে যান। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ওপরে লেখা ১৫ টাকা, কিন্তু নিচ্ছে ২০ টাকা।


এসময় তারা আরো বলেন, "ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অবস্থা খুবই বাজে। অনেক কক্ষে ডাক্তার দেখিনি, অথচ রোগীতে ভরা। এখানে যত সমস্যা রয়েছে সব ফাইন্ড আউট করে লিখিত আকারে দুর্নীতির প্রতিবাদে ১১ দফা দাবি জানিয়ে সাত দিনে সমাধানের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।"