শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক:

শরীয়তপুরের নড়িয়াতে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র এক যুবদল নেতার তৈরি করা তোরণ পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রেজাউল হাওলাদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের পাগলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগরের সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রেজাউল হাওলাদারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের।


যুবদল নেতা মতিউর রহমান সাগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ সহকারী মিয়া নুরউদ্দিন অপুর সমর্থক।


অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল হাওলাদার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল শরীফ হিরুর সমর্থক বলে জানা যায়।

সম্প্রতি মতিউর রহমান সাগর ঘড়িষার ইউনিয়নের পাগলার মোড় এলাকায় মিয়া নুরউদ্দিন অপু ও জামাল শরীফ হিরুর ছবি সম্বলিত একটি তোরণ নির্মাণ করেন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল হাওলাদারের সমর্থকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল হাওলাদারের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্রদল নেতা আলহাজ মাঝী, ঘড়িষার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আমান সহ অন্তত ১৫ জন লোক তোরণের ব্যানার সরিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ মতিউর রহমান সাগরের। এছাড়াও ওই এলাকার কয়েকটি ফ্যাস্টুন নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে জানায় যুবদল নেতা সাগর।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর অভিযোগ করে বলেন, আমি মিয়া নুরউদ্দিন অপু ভাইয়ের ছবি দিয়ে তোরণ নির্মাণ করায় ক্ষিপ্ত হয় রেজাউল হাওলাদার। তাছাড়া হিরু ভাই আমাদের এলাকার লোক বলেই তার ছবি ব্যানারে ব্যবহার করেছি। কিন্তু রেজাউল হাওলাদারের নির্দেশে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার তোরণের ব্যানার খুলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি বিষয়টি থানায় অবগত করেছি।


তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রেজাউল বলেন, মতিউর রহমানের কর্মকাণ্ডে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত। সে হিরু ভাইয়ের দল না করেও তার ছবি তোরণে দিয়েছে। তাই স্থানীয় কিছু ছেলেরা ব্যানার নামিয়ে নিয়েছে। তবে তোরণে কেউ আগুন দেয়নি।


এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।