দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এটিকে স্বাগত জানিয়েছে সংসদ বিলুপ্তিকে স্বাগত জানালো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিলুপ্ত ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ তথ্য জানান প্লাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সারজিস আলম বলেন, আমরা সংসদ বিলুপ্তিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে, সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। শুধুমাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলন নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা বিভিন্ন উদ্দেশ্য যাদের জেলে দেয়া হয়েছে তাদেরও মুক্তি দাবি জানান এই সমন্বয়ক।

এর আগে, আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল তিনটার মধ্যে জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই আসে এমন ঘোষণা।

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তিনিও এই দায়িত্ব নিতে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সমন্বয়করা।

এদিকে, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির উপ প্রেস সচিব মুহা. শিপলু জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়াও, গত ১ জুলাই থেকে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেকে মুক্তি পেয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের সাথে তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।