নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধ করতে গভীর রাতে শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে একটি বালু কাটার ড্রেজার মেশিন অকেজো করা হয়েছে এবং জড়িত ৪ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার(১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সারে ১২টার দিকে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়েনর বাবুরচর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা অপরিকল্পিত ভাবে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। এতে স্থানীয়রা ভিটেমাটি হারানোর শঙ্কাসহ পদ্মা নদীর বেরি বাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সচেতনমহল সোচ্চার হওয়ার পর জেলা প্রশাসন নিয়মিত পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. সোহেল রানা ও জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাদিয়া বিনতে সোলায়মান পদ্মা নদীতে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বালু কাটার একটি ড্রেজার মেশিন অকেজোকরণসহ বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ৪ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাস করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চাঁদপুর জেলার মধ্যচলি এলাকার মিজান খানের ছেলে মো: মোক্তার হোসেন(২৯), নোয়াখালী জেলার কবিরহাট এলাকার চরালডি গ্রামের আবু তাহের বেপারীর ছেলে মো. জহির বেপারী(২৪), আলাউদ্দিনের ছেলে আল-আমিন হোসেন(২৪) ও লক্ষ্মীপুর জেলার চরফলকন এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো: রাসেল(২০)।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাদিয়া বিনতে সোলায়মান বলেন, অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধ করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।