নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সাথে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে। আজ বুধবার বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসভায় এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেফতার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ করেন সারজিস। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। 

সারজিস আলম তার বক্তব্যে আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরে আমরা বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখতে পেয়েছি। কিন্তু তা ছিল আমাদের চোখের সামনে ঝুলিয়ে রাখা কিছু মুলা। ওই মুলার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এদেশের বিভিন্ন সিষ্টেমের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদের দালালরা ক্যান্সার কোশের সৃষ্টি করেছে। এই বাংলাদেশের সরকারি ও বিভিন্ন সিস্টেমে কাজ করেছে কারা? আমার আপনার পরিচিতরা। সরকারি ওই সিস্টেমগুলোতে ফ্যাসিষ্টদের আড্ডাখানা বানিয়েছে, ফ্যাাসিস্টদের কফিহাউজ বানিয়েছে। এখন এই ফ্যাসিষ্ট সিষ্টেম মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের স্পষ্ট বার্তা কেউ একজন জেলা প্রশাসক হোক, বিভাগীয় কমিশনার হোক কিংবা পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হোক, তিনি যদি অপরাধি হয়, যদি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ থাকে যত বড় কর্মকর্তাই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

এসময় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জেদনী তার বক্তব্যে বলেন, গনঅভুত্থানের পর দেখছি শিক্ষকদের ওপর হামলা হচ্ছে, নিপীড়ন হচ্ছে, মাজার ভাঙা হচ্ছে। এগুলো করা যাবে না। তা প্রতিরোধ করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আইন যেন কেউ নিজের হাতে তুলে না নেয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকল অনাচার, দুর্নীতি বন্ধ করতে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকাল ১০ টায় শরীয়তপুর আসেন সারজিস সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১২ সমন্বয়ক। বেলা ১২ টায় ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন সমন্বয়করা।