শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক:

দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন বর সাঞ্জুসহ তার ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এরমধ্যে বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বর সাঞ্জু।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুরের নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম বার্তা বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শাওন রাজধানী ঢাকার ওয়ারী থানার জুরাইন এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে ও হৃদয় বর সাঞ্জুর বন্ধু।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার(২ আগস্ট) সকালে গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর লঞ্চঘাট থেকে ট্রলারযোগে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চর যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। ঢাকা থেকে আসা বরযাত্রীর ৮ জনসহ ট্রলারটিতে মোট ১১ জন যাত্রী থাকলেও স্থানীয় তিনজন সাঁতার কেটে ডাঙায় উঠতে পারলেও সাঁতার না জানায় নদীতে ডুবে যায় বরযাত্রীর ৮ ব্যক্তি। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও পুলিশ ঐ বরযাত্রার ৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক বর সাঞ্জুর মা সাহানা ও বোন জলি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। বরসহ বাকি তিন জন নিখোঁজ থাকায় গতকাল শুক্রবার(২ আগষ্ঠ) সারাদিন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সমন্বিত টিম উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেও অতিরিক্ত স্রােতের কারণে কারও খোঁজ পায়নি। এরপর গতকাল শুক্রবার রাতে কোদালপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি মেঘনা নদীতে বর সাঞ্জুর ছোট ভাই শাওনের মরদেহ জেলেদের জালে আটকে গেলে পুলিশকে খবর দেয় জেলেরা। রাতেই শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শনিবার(৩ আগষ্ঠ) দুপুর ১২ টার দিকে সাঞ্জুর বন্ধু হৃদয়ের মরদেহ কোদালপুর এলাকার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের একটি টিম। শাওন, শাহানা ও জলির মরদেহ পরিবারের কাছে ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। হৃদয়ের মরদেহ হস্তান্তর করার জন্য পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ। ছেলে সাঞ্জুর জন্য মেয়ে দেখে পছন্দ হলে বিয়ের কথা থাকলেও মর্মান্তিক এই নৌ-দুর্ঘনায় সাঞ্জুর পরিবারের তিন জনের মরদেহসহ হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ বর সাঞ্জু। এঘটনায় স্বজনদের মধ্যে বইছে শোকের মাতম।

নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম বলেন, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় একই পরিবারের তিন জনসহ মোট চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বর সাঞ্জু নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত শাহানা, জলি ও শাওনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হৃদয়ের মরদেহ কিছুক্ষণ আগে পাওয়া গেছে। তার মরদেহ হস্তান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।