শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
মেহেদী হাসান ॥ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগী রাত সাড়ে ৯ টায় মারা গেছে। এ ঘটনায় করোনা সন্দেহে আশেপাশের পাঁচ পরিবার লকডাউনে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। নড়িয়া নিবাসী রফিকুল ইসলাম(৩৫) নামে ওই রোগী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। রাত সাড়ে ৯ টায় সে মারা যায়। তবে তিনি প্রবাসী ছিলেন না। ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের চেরাগআলী বেপারীকান্দি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার পিতার নাম হামিদ বেপারী। তিনি শ্রমিকের কাজ করেতেন। তিনি সনাক্তকৃত টিবি রোগী ছিলেন বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, এর আগে গত ১৯ মার্চ নড়িয়া উপজেলা নিবাসী রফিকুল ইসলাম শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২৩ মার্চ পযর্ন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে টিবি (যক্ষা) রোগ ধরা পড়েছিল। এরপর সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মতে সে বাড়িতে অবস্থান করে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে আসছিলো।
রোগীর স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে রফিকুল ইসলাম শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে রাখেন। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান বলেন, ওই ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। যেহেতু শ্বাসকষ্ট রয়েছে ও তিনি নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা, তাই করোনা থাকতে পারে এমন ধারণা করে তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, মৃত রোগী সনাক্তকৃত টিবি রোগী ছিলেন। এর আগেও সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন। বাড়িতে বসে ডাক্তারের পরামর্শ মতে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে আসছিলেন। করোনার উপসর্গ থাকায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওই মৃত রোগীর শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, বুধবার সকালে ওই ব্যক্তির আশেপাশের পাঁচটি পরিবারকে লগডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ওই যুবক নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি একজন শ্রমিক। তিনি দীর্ঘদিন যাবত যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি চিন্তা করে তার বাসার আশেপাশের পাঁচটি পরিবারকে (২৩ সদস্য) লগডাউন করা হয়েছে।
Leave a Reply