শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন
নড়িয়া প্রতিনিধি ॥ সরকার শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা, শিক্ষার গুণগতমান উন্নত করা ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শিশু শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সমন্বয়ে শিশু শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উক্ত টাকা প্রধান শিক্ষকদের বরাবর ছাড় না দিয়ে নিজেরা শিশু শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করছে। এতে টাকার অনুপাতে শিক্ষা উপকরণের মধ্যে শুভংকরের ফাঁক রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সবরাহ করা উপকরণের মূল্য ৫ থেকে ৭শ’ টাকার বেশী হবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উক্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে নাম মাত্র মূল্যের শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করছেন। উপজেলার পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আসমা বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দকৃত টাকায় শিশু শিক্ষা উপকরণ উপজেলা অফিস কিনেছে, আমি তাদের কাছ থেকে এগুলো এনেছি। দিনারাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, আমাদের সমিতির লোকেরা এর সাথে জড়িত আছে, অনেকেই অফিস থেকে মালপত্র নিয়েছে, আমি এখনও আনিনি। নসাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ স্বপন বলেন, আমি অফিসের কেনা ঐ অল্প টাকার জিনিস আনিনি, আমি টাকা নিয়ে এসেছি, শিক্ষক সমিতির নেতাদের সাথে মিলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মাত্র ৫ থেকে ৭শ’ টাকার জিনিস দিতেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, আমরা অফিসের কিনে দেয়া জিনিসগুলো আনতে চাইনি কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের ভয়ে শেষ পর্যন্ত না এনে পারিনি।
এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন এর সাথে কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার তার অফিসে না পেয়ে তার মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে অ¯ী^কৃতি জানান এবং এ প্রতিবেদককে তার অফিসে গিয়ে চা খাবার জন্য অনুরোধ করেন।
Leave a Reply