সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে নৌপথে যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য তাঁরা দ্রুত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের তাগিদ দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। আর কম খরচে রপ্তানি করতে হলে গভীর সমুদ্রবন্দর লাগবেই।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সমুদ্রপথে আন্তযোগাযোগ বৃদ্ধি: বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ী নেতারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে গতকাল বুধবার এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
সমুদ্র ও নদীপথে যোগাযোগের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে হোসেন খালেদ বলেন, নৌপথে যোগাযোগ সক্ষমতা বাড়লে কম সময় ও খরচে পণ্য পরিবহন করা যাবে। সমুদ্রবন্দরের উন্নয়ন এবং ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও চীনের সঙ্গে সমুদ্রপথের যোগাযোগ আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
সংগঠনটির সাবেক সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি এখন সময়ের দাবি। পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে হলে দেশে-বিদেশে নৌপথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল কার্যকর করার পাশাপাশি পদ্মা নদীর দুই পাড়ে আরও টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব দেন তিনি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক এইচ এ গ্রুপের কারিগরি উপদেষ্টা এ কে এম শফিউল্লাহ আঞ্চলিক সামুদ্রিক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি কার্যকর মহাপরিকল্পনা তৈরির আহ্বান জানান। সেমিনারের বিশেষ অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক এবং নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে হবে।
নৌমন্ত্রী বলেন, পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ চলছে। ২০১৮ সালেই এটি সীমিত পর্যায়ে চালু করা হবে। তবে এর পুরোপুরি নির্মাণ শেষ হবে ২০২৩ সালে। তিনি জানান, দেশের ভেতরে নৌপথে যোগাযোগ বাড়াতে ৫৩টি নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি নদীপথ সংস্কারে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply